আপনি যদি কম বিনিয়োগে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক হন তবে পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিন। আপনি মাত্র 5000-এ পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবেন। ভারতে, 1.5 লক্ষ পোস্ট অফিস রয়েছে এবং যেখানে 84 শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে। এখন পোস্ট অফিসের প্রয়োজন আছে তাই সরকার পোস্ট অফিসের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার সুযোগ দেবে |এই মেইল সেন্টার স্থাপনা স্ট্যাম্প, লেখার উপাদানের মতো জিনিসের ভাণ্ডার বিক্রি করতে পারে; স্পিড পোস্ট, নগদ অনুরোধের মতো পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে। আরও কী, এই প্রতিটি ক্ষেত্রে, ভারতীয় ডাক বিভাগ দ্বারা নির্ধারিত কমিশন অ্যাক্সেসযোগ্য, এবং সেই বিন্দু থেকে নগদ সুবিধাও আসে।
কারা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবেন
১. যে কোনও ব্যক্তি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবেন।
২. কোনও প্রতিষ্ঠান, যেমন- পানের ও মুদির দোকান, স্টেশনারি দোকানও পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবে।
৩.
নতুন গড়ে ওঠা জায়গা বা শিল্পকেন্দ্রের সাপেক্ষে পলিটেকনিক কলেজ, অন্য
কলেজ বা ইউনিভার্সিটিও এই পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবে।
কারা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবেন না
১. পোস্ট অফিসের কর্মচারীরা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবেন না।
২.
অবশ্য, পোস্ট অফিসের কর্মচারীদের পরিবারের কোনও সদস্য যদি তাঁর আয়ের উপরে
নির্ভরশীল হন এবং একত্রে বসবাস করেন, তাহলে তিনি এই পোস্ট অফিস
ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবেন।
পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে কী করতে হয়:
পোস্ট
অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে হলে একটি ফর্ম জমা করতে হয়। এক্ষেত্রে
1. শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাস
2. বয়সসীমা ১৮ বছর বলে ধার্য
করা হয়েছে।
কী ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলে:
জনৈক
ব্যক্তি ফর্ম জমা করার পরে ১৪ দিনের মধ্যে ASP/SDI একটি রিপোর্ট পাঠায়
সংশ্লিষ্ট দফতরে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান ঠিক করেন যে কাকে
পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, যে সব
পঞ্চায়েত কেন্দ্রে পঞ্চায়েত সঞ্চার সেবা যোজনা প্রকল্পের অধীনে পঞ্চায়েত
সঞ্চার সেবা কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার অনুমতি
পাওয়া যায় না।
পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে হলে কত টাকা জমা করতে হয়:
এক্ষেত্রে
ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ হল ৫০০০ টাকা। একটি পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি
দিনে কত আয় করতে পারে, তার উপরে ভিত্তি করে এই অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়।
ভবিষ্যতে আয় যত বাড়ে, সেই অনুসারে জমা টাকার অঙ্কে বদল আসে। সিকিউরিটি
ডিপোজিট এক্ষেত্রে NSC হিসেবে নেওয়া হয়ে থাকে।
পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে কী কী কাজ হবে:
- স্ট্যাম্প এবং স্টেশনারি বিক্রি
- রেজিস্টার্ড আর্টিকেল পাঠানো
- স্পিড পোস্ট
- মানি অর্ডার- ১০০ টাকার কম হলে পরিষেবা মিলবে না
- ট্যাক্স/জরিমানা/বিল আদায়
- ইনস্যুরেন্সের প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা
- পোস্টাল লাইফ ইনস্যুরেন্স এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে
E-Shram কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি ফর্ম ডাউনলোড করুন
লাভের টাকা কী ভাবে আসবে:
প্রত্যেকটি
পরিষেবা পিছু ভারতীয় ডাকবিভাগ একটি নির্দিষ্ট কমিশন ধার্য করে
রেখেছে, পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকের আয় সেখান থেকেই হবে। যেমন-
১. রেজিস্টার্ড আর্টিকেলের বুকিং = ৩ টাকা
২. স্পিড পোস্টের বুকিংয়ে =৫ টাকা
৩. ১০০-২০০ টাকার মানি অর্ডারে =৩.৫০ টাকা
৪. ২০০ টাকার উপরে মানি অর্ডার = ৫ টাকা
৫. রেজিস্টার্ড আর্টিকেল এবং স্পিড পোস্টের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে হাজারের উপর বুকিংয়ে অতিরিক্ত ২০ শতাং কমিশন
৬.যে পরিমাণ স্ট্যাম্প বিক্রি হচ্ছে তার মূল্যের ৫ শতাংশ কমিশন
৭. স্টেশনারি, মানি অর্ডার ফর্ম বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্যের ৫ শতাংশ কমিশন
৮. রেভেনিউ স্ট্যাম্প, সেন্ট্রাল রিক্রুটমেন্ট ফি স্ট্যাম্প বিক্রি সমেত রিটেল সার্ভিস থেকে যা আয় হয়েছে তার ৪০ শতাংশ কমিশন
Frequently Asked Questions (FAQ)
1.কারা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবেন ?
উঃ যে কোনও ব্যক্তি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবেন ,কোনও প্রতিষ্ঠান, যেমন- পানের ও মুদির দোকান, স্টেশনারি দোকানও পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবে,নতুন গড়ে ওঠা জায়গা বা শিল্পকেন্দ্রের সাপেক্ষে পলিটেকনিক কলেজ, অন্য
কলেজ বা ইউনিভার্সিটিও এই পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবে।